♦♦ কলেরা, ওলাওঠা - Cholera
এই রোগে মারাত্মক ধরণের পাতলা পায়খানা, বমি এবং পেশীতে আক্ষেপ দেখা দেয়। ফলে রোগীরা শরীরে পানিশূণ্যতার কারণে মৃত্যুবরণ করে। এই রোগ সাধারণত দূষিত পানি ও ভেজাল খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। কলেরা সাধারণত মহামারী আকারে দেখা দেয় অর্থাৎ একই এলাকার
শত-সহস্র লোক এক সাথে আক্রান্ত হয়ে থাকে।যদিও এলোপ্যাথিতে বলা হয়ে থাকে যে, প্রত্যেকটি রোগই একটি নির্দিষ্ট জীবাণুর (অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস) আক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। কিন্তু হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তা স্বীকার করেন না। কেননা সেক্ষেত্রে জীবাণুদের ধ্বংস
করে দিলেই রোগ সেরে যাওয়ার কথা।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, জীবাণু ধ্বংস করার পরও অনেক রোগ পুরোপুরি নিরাময় হয় না। তাদের মতে, দেহ-মনের ভেতরগত কোন দুর্বলতার (susceptibility) কারণেই মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে
রোগের সৃষ্টি করে না; বরং মানুষ রোগাক্রান্ত হওয়ার পরেই জীবাণুরা শরীরে প্রবেশ করে বংশবৃদ্ধি করার সুযোগ পায়। তাদের মতে রোগের অন্যান্য অনেক লক্ষণের মতো জীবাণুর আক্রমণও একটি লক্ষণ মাত্র। সে যাক, কলেরা রোগের চিকিৎসা “ডায়েরিয়া”
অধ্যায়ে দেখুন।

