হাঁপানি - Asthma, bronchial asthma, allergic asthma, Infantile asthma, - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
Asthma homeo
হাঁপানি - Asthma, bronchial asthma, allergic asthma, Infantile asthma,

হাঁপানি - Asthma, bronchial asthma, allergic asthma, Infantile asthma,

Asthma homeo
Short Description:

Product Description

 ♦♦ হাঁপানি - Asthma, bronchial asthma, allergic asthma, Infantile asthma, 



হাঁপানি হলো কিছুদিন পরপর বারে বারে আসা শ্বাসকষ্ট্রের নাম যাতে শ্বাসনালী চিকন হওয়ার কারণে শ্বাস নেওয়ার অথবা ছাড়ার সময় হিস হিস শব্দ হয়। হাঁপানির সাথে কখনও কখনও কাশি থাকে এবং আঠালো কফ উঠে। হাঁপানির আক্রমণ যখন তীব্র হয়, তখন লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে

জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর যখন হাঁপানির আক্রমণ চলে যায়, তখন হাঁপানির কারণ অনুযায়ী মূল ঔষধ খেয়ে তাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে।হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে নিরাময় করা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অসম্ভব হলেও একজন সুদক্ষ হোমিও চিকিৎসকের পক্ষে অসম্ভব নয়।



 হাঁপানির নাম (bronchial asthma, allergic asthma, Infantile asthma, exercise- induced asthma, Bronchitis) যা-ই হোক না কেন, ঔষধ খেতে হবে লক্ষণ অনুসারে। হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে সারানোর ক্ষমতা পৃথিবীতে

একমাত্র হোমিও ঔষধেরই আছে।হ্যাঁ, ঔষধ বা অন্য যে-সব জিনিস বা খাবারের কারণে হাঁপানি বেড়ে যায়, সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। যেমন - বেশী পরিশ্রম, আবেগপ্রবন / উত্তেজিত হওয়া, নির্দিষ্ট কোন একটি ঔষধ (যেমন- বাতের ঔষধ), বিড়াল-কুকুরের পশম, ফুলের রেণু,

গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, কচুঁ শাক, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি। 



√ প্রথমত হাঁপানির সাথে যদি কাশি থাকে, তবে “কাশি” অধ্যায়ে বর্ণিত লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে সেটি নিরাময় করুন। তারপর হাঁপানির তীব্রতা কমে আসলে স্থায়ীভাবে সারানোর জন্য প্রায়ই নীচের ঔষধগুলো খাওয়ানো লাগতে পারে। Arsenicum Iodatum

শীতকাতর রোগী কিন্তু গরমে হাঁপানীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, লক্ষণে আর্সেনিকাম আয়োডেটাম খেতে হবে। Causticum : হাঁপানী রোগী একমাত্র দাড়িয়ে থাকলে আরাম পায়, লক্ষণে কষ্টিকাম প্রযোজ্য। Psorinum : শুয়ে থাকলে এবং দুই হাত ছড়িয়ে রাখলে হাঁপানীর

কষ্ট কমে এবং হাত বুকের কাছে অনিলে কষ্ট বৃদ্ধি পায়, লক্ষণে সোরিনাম খেতে হবে। Pothos Foetida : ধুলোবালির কারণে যদি হাঁপানীর আক্রমণ হয় অথবা হাঁপানীর উৎপাত বৃদ্ধি পায়, তবে চোখ বুজে পোগোজ খেতে পারেন। Aconitum Napellus :

 হঠাৎ হাঁপানীর আক্রমণের অল্পক্ষণের মধ্যেই যখন সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তখন খাওয়াতে পারলে একোনাইট কাজ করবে যাদুর মতো। হাঁপানীর আক্রমণ এত মারাত্মক হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে শংকিত হয়ে পড়ে। 



Kali Carbonicum - ক্যালি কারব-এর প্রধান লক্ষণ হলো হাঁপানীর আক্রমণ ভোর ৩টা থেকে ৫টার সময় বৃদ্ধি পায়, রোগী হুইল চেয়ারে বসে দোল খেলে হাঁপানীর কষ্ট কমে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। Belladonna : যদি শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে,

যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায় (যেমন- মাথা ব্যথার সময় মুখ লাল হওয়া), শরীরে জ্বালা-পোড়াভাব থাকে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে বেলেডোনা প্রয়োগ করতে পারেন। বেলেডোনা সাধারণত মোটাসোটা, শক্তিশালী, ফুর্তিবাজ রোগীদের বেলায় ভালো কাজ করে। Aspidosperma

: সাধারণত শ্বাসকষ্টের সময় যদি মুখ লাল হয়ে যায় অথবা নীল হয়ে যায়, তবে তাতে এসপিডসপারমা উপকারী। আবার শ্বাসকষ্ট যদি কোন হৃদরোগের কারণে হয় (যেমন- হৃদপিন্ড বড় হয়ে যাওয়া, হৃদপিন্ডে চর্বি জমা, হার্টের ভাল্বের সমস্যা), তবে তাতেও ইহা প্রয়োগ করতে পারেন। 



Bacillinum : অতীতে যাদের যক্ষ্মা হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-ভাই-বোন বা স্বামী-স্ত্রীর যক্ষ্মা বা হাঁপানি ছিল, তাদেরকে বেসিলিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। বেসিলিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ঘনঘন সর্দি লাগা, ভীষণ ক্ষুধা,

প্রচুর খায় কিন্তু তারপরও দিনদিন শুকিয়ে যায়, ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করে, ভোলা বাতাসের জন্য পাগল, এক জায়গায় বেশী ক্ষণ থাকতে - এক কাজ বেশী ক্ষণ করতে ভালো লাগে না, রাতের বেলা হাঁপানি বেড়ে যায়। এটি ২০০, ১০০০ এবং ১০,০০০ শক্তিতে একমাস পরপর মোট ৩

 মাত্রা খাওয়া উচিত। Medorrhinum : অতীতে যাদের গনোরিয়া (Gonorrhoea) হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর গনোরিয়া ছিল, তাদেরকে মেডোরিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না।



 মেডোরিনামের প্রধান লক্ষণ হলো পেট নীচের দিকে এবং পিঠ উপরের দিকে দিয়ে শুইলে (নামাযের সেজদার পজিশনে) এবং জিহ্বা বের করে রাখলে হাঁপানি কমে এবং এরা গরম সহ্য করতে পারে না। এটি ২০০, ১০০০ এবং ১০,০০০ শক্তিতে একমাস পরপর মোট ৩ মাত্রা খাওয়া উচিত।

 Syphilinum : অতীতে যাদের সিফিলিস হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর সিফিলিস ছিল, তাদেরকে সিফিলিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। সিফিলিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রাতের বেলা সকল রোগ বৃদ্ধি পায়, বাতের সমস্যা

লেগেই থাকে, দাঁত দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়, মদ বা অন্যান্য মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি, স্মরণশক্তি দুর্বল, বেশী বেশী হাত ধোয়ার অভ্যাস, দুরারোগ্য কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদি। এটি ২০০, ১০০০ এবং ১০,০০০ শক্তিতে একমাস পরপর মোট ৩ মাত্রা খাওয়া উচিত।



 Natrum Sulphuricum : যে-সব হাঁপানি ভিজা আবহাওয়ার সময় অথবা বর্ষাকালে বেড়ে যায়, তাতে নেট্রাম সালফ প্রযোজ্য। এটি ৩০ শক্তি থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে খাওয়া উচিত। Magnasium Sulphuricum : যে-সব শিশু বা যুবক-যুবতী নিজেদেরকে

 পরিত্যক্ত -অপ্রয়োজনীয় অনাকাঙ্খিত (rejected { deserted) মনে করে, তাদের যে-কোন রোগে ম্যাগ সালফ প্রয়োগ করতে হবে। যেমন - ইয়াতীম (orphan) শিশু, যেই শিশুকে তার মাতা গর্ভপাত ( abortion attempted) করতে চেয়েছিলেন, ধর্ষিতা যুবতী

(raped) ইত্যাদি ইত্যাদি। Thuja Occidentalis : টিকা (Vaccines) হলো হাঁপানি হওয়ার একটি সবচেয়ে বড় কারণ। যেমন- বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি ইত্যাদি। টিকা নেওয়ার কারণে হাঁপানি হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ।

সুতরাং যে-সব হাঁপানি রোগী অতীতে এসব অথবা অন্য কোন টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা খুজা খাওয়াতে হবে। যারা শীত সত্ব করতে পারে না এবং উপর থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের ক্ষেত্রে থুজা প্রযোজ্য। বদ্ধমুল ধারনা (fixed ideas) লক্ষণ থাকলে

থুজা প্রয়োগ করতে হবে। যেমন - একজন রোগী দুয়েক চাপ ইনহেলার নিলে উপকার পায়, এমনকি ইনহেলারের ভেতরে কোন ঔষধ না থাকলেও উপকার হয়। এটি ৩০ অথবা ২০০ শক্তিতে দশ দিন পরপর খাওয়া উচিত।