Syphilinum (syph) সিফিলিনাম
পরিচয়ঃ ইহা একটি নোসোড জাতীয় ঔষধ । উপদংশ ক্ষতের বিষ হইতে ইহা তৈরী হয় । ইহা এন্টিসাইকোটিক ও এন্টিসিফিলিটিক ঔষধ । ইহার অন্য নাম: লিউটিকাম (Leuticum).
ধাতুগত বৈশিষ্ট্যঃ মলম ইত্যাদি বাহ্য ঔষধ প্রয়োগে উপদংশ ক্ষত দমন করিবার ফলে যে সকল ব্যক্তি বহু বছর যাবৎ গলক্ষত ও চর্মরোগে ভুগিতেছে অথবা যাহারা উপদংশ বিষদুষ্ট ধাতুবিশিষ্ট, তাহাদের রোগে অন্য কোন ঔষধের বিশিষ্ট লক্ষণসমষ্টি না থাকিলে সিফিলিনাম বিশেষ উপযোগী ।হাবাগোবা শিশু ও বালক ।
Antidote food/ ঔষধের ক্রিয়ানাশক খাদ্য: কফি, কর্পূর ।
ক্রিয়ানাশকঃসালফার।
- বংশগত সিফিলিস/উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা।
- রাতে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা।
- খর্বতা ও পক্ষাঘাত।
- দেহে নানাবিধ ক্ষত বা চর্মরোগ।
-
সকল স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত।
ইহার রোগী রাতকে যমের মত ভয় করে ।
সিফিলিনাম ২০০ শক্তি হইতে আরো উচ্চ শক্তি ব্যবহার করা বিধেয় ।
কাতরতাঃ
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ।
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি):
- এন্টি-সিফিলিটিক (প্রথম গ্রেড)
মূল কথাঃ
- অর্জিত সিফিলিস।
- বংশগত সিফিলিস/উপদংশ বা উপযুক্ত ঔষধের ব্যর্থতা।
- রাতে বৃদ্ধি, অনিদ্রা ও অক্ষুধা।
- খর্বতা ও পক্ষাঘাত।
- দেহে নানাবিধ ক্ষত বা চর্মরোগ।
- দুর্গন্ধযুক্ত মল, মূত্র, ঘর্ম, নিঃশ্বাস।
- কোষ্ঠবদ্ধতা।
- স্মৃতিশক্তি একেবারেই লোপ পায়; কিছু মনে রাখিতে পারে না।
- বিনা কারণে বোকার মত হাসে আবার কখনো বা ক্রন্দন করে।
- বেলা উঠা থেকে বেলা ডুবা পযর্ন্ত রোগের বৃদ্ধি।
- প্রায়ই মাথার যন্ত্রণায় ভুগিতে থাকে (মাথার সম্মুখে, পাশে, চক্ষুতে, কানের ভিতর ব্যথা); এই বেদনা বিকাল ৪ টা থেকে আস্তে আস্তে রাত বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি হইতে থাকে এবং ভোর রাত্রি থেকে বেদনা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
ব্যবহারস্থলঃ উপদংশ দোষদুষ্ট দেহে যখন অন্য ঔষধ প্রয়োগে ফল হয় না, তীব্র শিরঃপীড়া, পূতিনস্য, হৃদশূল, দন্তশূল, উপদংশজ চোখ উঠা, মলান্ত্রের ক্ষত, অস্থিক্ষত, বাত, মানসিক বিকৃতি, মৃগী, স্বরভঙ্গ, জিহবায় ক্ষত, হাঁপানি প্রভৃতি পীড়ায় উপযোগী ।
ক্রিয়াস্থলঃ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী, স্নায়ুমন্ডলী ও অস্থির উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া ।
উপশম/হ্রাসঃ দিনে, ঘুরিয়া বেড়াইলে, ঠান্ডা জলে (চোখ) উপশম ।
বৃদ্ধিঃ রাতে সর্ববিধ যন্ত্রণার বৃদ্ধি, গ্রীষ্মে, সমুদ্র তীরে, নড়াচড়ায়, গরমে, শীতকালে, স্পর্শে বৃদ্ধি ।
লক্ষণ সূত্রঃ এম, ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-৭৯৭, এন. সি. ঘোষ: পৃষ্ঠা-৬২১, উইলিয়াম বোরিক: পৃষ্ঠা-৪৪২, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-৩৮৬, অতুল কৃষ্ণ দত্ত: পৃষ্ঠা-৮৬৫, জেমস টেইলর কেন্ট: পৃষ্ঠা-৭৪৯, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-৭৪২, এইচ. সি এলেন: পৃষ্ঠা-২৭৫ ।