এনথ্রাক্স - Anthrax - Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

Kolkata Herbal. Ginseng.Homeo Unani Herbal Medicine.Repertory Materia Medicia.

ফোনে অর্ডার দিতে: 01720000039 অর্ডার করার জন্য প্রোডাক্ট কোডটি লিখে কল বা SMS, Whatsapp, IMO করুন. সারা বাংলাদেশ কুরিয়ারে ডেলিভারি । Ginseng Alkushi Ashwagandha জিনসিং আলকুশি, অশ্বগন্ধা শিমুল

SUBTOTAL :
homeo
এনথ্রাক্স - Anthrax

এনথ্রাক্স - Anthrax

Short Description:

Product Description

 ♦♦ এনথ্রাক্স - Anthrax



 এনথ্রাক্স রোগটি আসলে (introduction) কি ? সম্প্রতি আমাদের দেশে এনথ্রাক্স (Anthrax) রোগটির প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে এবং অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে যাতে মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্ঠি হয়েছে। গ্রীক শৃদ এনথ্রাক্স (Anthrax) এর মানে হলো কয়লা

(coal) : এনথ্রাক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির চামড়ায় কয়লার মতো কালো রঙের ক্ষত / ঘা হয় বিধায় এই রোগের এমন নাম হয়েছে।রোগে এনথ্রাক্স হলো আমাদের গৃহপালিত প্রাণীদের একটি ছোঁয়াচে রোগ যা ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস (Bacillus anthracis) নামক ব্যাকটেরিয়ার

 আক্রমনে হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়ার মোট উনাননব্বইটি প্রজাতি (strains আবিষ্কৃত হয়েছে : যেমন- এমিস প্রজাতি (Ames strain), ভলাম প্রজাতি (vollum strain), স্টার্ন প্রজাতি (Steine strains) ইত্যাদি।



 তাদের মধ্যে ভলাম ওয়ান-বি (vollum 1B) নামক প্রজাতিটি উইলিয়াম এ. বয়েলস (William A. Boyles) নামক একজন বিজ্ঞানীর শরীর থেকে সণাক্ত করা হয়েছিল, যিনি আমেরিকার সেনাবাহিনীর জীবাণুঅস্ত্র কারখানায় গবেষণার সময় এনথ্রাস্কে আক্রান্ত হন।

 সাধারণত মাঠে-ময়দানে ঘুরেফিরে খায় এমন জন্তুদের (grazing animals) মধ্যে এই রোগটি বেশী হতে দেখা যায়।এটি মানুষ এবং পশু উভয়কে সমানভাবে আক্রমণ করে থাকে। এনথ্রাক্সের জীবাণু সাধারণত তার চারদিকে ডিমের খোঁসার মতো (spores) একটি আবরণ

তৈরী করে তার ভেতরে অবস্থান করে। ফলে সেগুলো এমনকি খারাপ পরিবেশেও অনেক বছর এমনকি সত্তর পর্যন্ত বেচেঁ থাকতে দেখা গেছে। এই কারণে এনথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী কোন মানুষ বা পশুকে যেখানে কবর দেওয়া হয়, সেখানকার মাটিতে ইহার জীবাণু

 থেকে যায় অনেক যুগ পর্যন্ত। 



স্বাস্থ্য-সচেতনতা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে মানবসমাজে যদিও এনথ্রাক্সের উৎপাত অনেক অনেক কমে গেছে : কিন্তু বড় বড় জঙ্গলের ভেতরের জংলী জানোয়ারদের মধ্যে এটা এখনও প্রচুর মাত্রায়ই বিদ্যমান আছে।মূলতঃ পশুদের থেকে এটি মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করে

থাকে। এই রোগটি প্রধানত কৃষক, খামারের মালিক-শ্রমিক, কসাই, পশুদের চামড়া-পশম-হাড়ি ব্যবসায়ী ইত্যাদি পেশায় নিয়োজিত লোকদের মধ্যে অধিক হারে বিস্তার লাভ করে থাকে। তবে এই ভয়ঙ্কর জীবাণুটি বর্তমানে যেহেতু জীবাণু অস্ত্র (biological weapons)

হিসেবে অনেক দেশই তৈরী করছে, কাজেই ভবিষ্যতে কোন দেশ যুদ্ধের সময় তার শত্রুদের ওপর ছেড়ে দিলে (bioterrorism) তখন হয়ত সকল পেশার লোকেরাই সমানভাবে এনথ্রাক্সে আক্রান্ত হবে।এনথ্রাক্সে রোগে কি হয়ে (Symptoms) থাকে ? এনথ্রাক্সে যত ধরণের

সমস্যা দেখা দেয়, তার প্রায় সবগুলোই মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। সাধারণত এই রোগের জীবাণু কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে তিন দিনের মধ্যে চামড়ায় একটি চুলকানীযুক্ত ছোট্ট পানিযুক্ত ফোস্কা (vesicle) ওঠে এবং ধীরে ধীরে তা বড় আকৃতির বিষাক্ত

ফোড়ায় (malignant pustule) পরিণত হয়। 



কারো কারো ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা থাকে না আবার কারো কোরো ক্ষেত্রে উচ্চতাপযুক্ত জ্বর (high Fever) এবং রক্ত দূষিত (septicemia) হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে।এনথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত গোশত খাওয়ার পরে গলায় একটি ক্ষতের (ulcer) সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং

ক্ষেত্রবিশেষে রক্তবমি, মারাত্মক ডায়েরিয়া, পাকস্থলীতে মারাত্মক প্রদাহের (fatal gastroenteritis) সৃষ্টি হয়। আবার নিঃশ্বাসের সাথে জীবাণু প্রবেশ করলে সাধারণত গলাব্যথা-স্বরভঙ্গ (aryngitis), বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তক্ষরণযুক্ত ফুসফুসের প্রদাহ

(hemorrhagic bronchopneumonia) হতে পারে। ইতিহাসে ইহাকে পশম বাছাকারীদের রোগ (Woolsorters’ disease) নামে অভিহিত করা হতো : কেননা যারা জন্তুদের পশম বাছাই এবং বিন্যাসের কাজ করত, তারাই নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসের

এনথ্রাক্সে (Inhalational anthrax) আক্রান্ত হতো। 



অল্পকিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের প্রদাহ (meningitis) হয়ে প্রাণনাশ হতে পারে।রোগ নির্ণয় (Diagnosis) করব কিভাবে ? সাধারণত ক্ষত থেকে রস নিয়ে, কফ, থুতু, পায়খানা, মেরুদন্ডের ভেতরের তরল (cerebrospinal fluid) ইত্যাদি অনুবীক্ষণ যন্ত্রে নিয়ে পরীক্ষা

 করলে তাতে এনথ্রাক্সের জীবাণু পাওয়া যায়। তাছাড়া একসাথে অগণিত মানুষ যখন আক্রান্ত হতে থাকে, তখন পরীক্ষা না করেও শুধু লক্ষণ দেখেই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।এনথ্রাক্সের চিকিৎসা (Treatment) কি ? / হোমিওপ্যাথিতে আছে বেশ কিছু ঔষধ যারা সফলভাবে এ

নথ্রাক্স নির্মূল করে থাকে। তাদের মধ্যে আছে এনথ্রাসিনাম (Anthracinum), আর্সেনিক এলবাম (Arsenicum Album), পাইরোজিনাম (Pyroginum), ক্রোটেলাস হরিডাস (Crotalus Horridus), ল্যাকেসিস (Lachesis), ইচিনেশিয়া

(Echinacea Angustifolia), টেরেনটুলা কিউবেনিস (Tarentula Cubensis) ইত্যাদি।



এদের মধ্যে এনথ্রাসিনাম (Anthracinum) নামক ঔষধটির কথা প্রথমে চিন্তা করতে হবে। এনথ্রাক্স রোগের জীবাণু নিঃসৃত বিষ থেকে প্রস্তুত করা এই ঔষধটি একই সাথে এনথ্রাক্সের চিকিৎসায় একটি শ্রেষ্ট ঔষধ এবং প্রতিষেধক বা টিকা (Vaccine) হিসাবেও সমানভাবে কাযর্কর।

ফ্রান্সের বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) এনথ্রাক্সের টিকা আবিষ্কারেরও অন্তত পঞ্চাশ বছর পূর্বে আমেরিকান হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডাঃ কন্সট্যান্টাইন হেরিং (Dr. Constantine Hering, MD) এনথ্রাসিনাম (Anthracinum) নামক এই অসাধারণ

 হোমিও ঔষধটি আবিষ্কার করেন। কেউ এনথ্রাকে আক্রান্ত হলে এনথ্রাসিনাম (Anthracinum) নামক হোমিও ঔষধটি (৩০ অথবা ২০০ শক্তিতে) ৪ (চার) ঘণ্টা পরপর খেতে থাকুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।অন্যদিকে

নিজের বাড়িতে অথবা মহল্লায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়লে তা থেকে বাঁচার জন্য এনথ্রাসিনাম (Anthracinum) নামক ঔষধটি (টিকা হিসাবে) সপ্তাহে একমাত্রা (এক ফোটা অথবা ১০টি বড়ি) করে খেতে থাকুন। এই মুহূর্তে তাই এনথ্রাসিনাম (Anthracinum) নামক হোমিও ঔষধটি

প্রত্যেকেরই কিনে ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা উচিত। গৃহপালিত পশু-পাখিদেরকেও একই নিয়মে ঔষধ খাওয়াতে হবে।



রোগের ভবিষ্যৎ (Prognosis) কি ? ঐতিহাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এনথ্রাক্সের আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৯২% কিন্তু যদি সময় মতো চিকিৎসা অবলম্বন করা হয় তবে ৪৫%। চর্ম এনথ্রাক্সের (cutaneous anthrax) খুব কম ক্ষেত্রেই মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনে যদি সময়মতো

 চিকিৎসা করা হয়। কত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে পাকস্থলীর এনথ্রাক্সে (Gastrointestinal anthrax) মৃত্যুর হার ২৫% থেকে ৬০% হতে পারে।আর কি কি করা (Precaution) যেতে পারে ? এনথ্রাক্সে আক্রান্ত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব

 চিকিৎসা নিতে হবে। আর যারা আক্রান্ত হন নাই, তারা পশুদের চামড়ায় বা গোয়ালঘরে নিদ্রা যাবেন না, হঠাৎ মারা গেছে বা অসুস্থ এমন কোন পশুর গোশত খাবেন না, গলাব্যথা বা টনসিলের ব্যথা হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন 



এনথ্রাক্সের টিকা (Vaccine) নেওয়া থেকে সকলেরই বিরত থাকা উচিত।কেননা বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, মেনিনজাইটিস, হেপাটাইটিস প্রভৃতি টিকার যে-সব মারাত্মক ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে, তার মধ্যে আছে টিকা নেওয়ার সাথে সাথে

তাৎক্ষণিক মৃত্যু (SIDS), ক্যান্সার, ব্রেন ড্যামেজ, শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব, বুদ্ধি প্রতিবন্ধি (autism), ব্রেন টিউমার, গুলেন-বেরি সিনড্রোম, হার্ট ফেইলুর, এলার্জি, হাঁপানি, বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্ম (birth defect), ডায়াবেটিস প্রভৃতি। কাজেই এনথ্রাক্সের টিকা থেকেও

 এসব রোগ অবশ্যই হবে। কেননা সকল টিকার প্রস্তুত প্রণালী এবং উপাদান তো একই (আর তা হলো প্রাণনাশী ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস)।