Chamomilla (cham) ক্যামোমিলা
পরিচয়ঃ বাৎসরিক উদ্ভিদ বিশেষ ।জার্মানীর ক্যামোমাইল গাছ । ইহার অপর নাম: Chamomilla Matricaria
বিশেষতঃ ছোট ছোট শিশুদের তরুণ পীড়ায় ব্যবহার্য্।
Antidote food/ ঔষধের ক্রিয়ানাশক খাদ্য: কফি, কর্পূর, নিদ্রা কারক ঔষধ/ঘুমের ট্যাবলেট, মিষ্টি, দুগ্ধ ।
ক্রিয়ানাশকঃ ক্যাম্ফর, পালসেটিলা, একোনাইট, বোরাক্স, চায়না, ককুলাস, কফিয়া, কলোসিন্থ, ইগ্নেসিয়া, ভেরেট, নাক্সভমিকা, ক্যা্ন্থারিস, এলিউমিনা, কোনি।
-
মানসিক লক্ষণ না থাকিলে ইহার দ্বারা উপকারের আশা থাকে না ।
-
মানসিক প্রশান্তভাব থাকিলে এই ঔষধ ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
-
রাগী ও খিটখিটে মেজাজ-এই লক্ষনটি বিশেষ ভাবে বিবেচ্য।
-
কোপন স্বভাব ও কলহ প্রিয়।
-
শিশুকে কোলে লইয়া দোল দিলে বা বেড়াইলে শিশু শান্ত হয় (আর্স, সিনা)।
-
একটি গাল লাল ও গরম, অপরটি ঠান্ডা ও ফ্যাকাশে।
-
পায়ের তলা এত জ্বালা করিতে থাকে যে তাহা আবৃত রাখিতে পারে না (পালস, মেডো, সালফার, স্যানিকু)।
-
জ্বর ক্রমশঃ বিকারে পরিনত হইলে ক্যামোমিলায় কোন উপকার হয় না; তবে মানসিক লক্ষণ থাকিলে ইহা প্রযোজ্য।
-
যে সকল
যন্ত্রণা রাত্রে, সময়ে সময়ে মধ্য রাত্রির পূর্বেই আসে, তাহাদের আর একটি
লক্ষণ এই যে, উহা এত তীব্র হয় যে, রোগী স্থির থাকিতে পারে না। এক্ষেত্রে
শিশুরা কোলে উঠিয়া বেড়াইতে চায় এবং তাহাতে উপশম হয়; বয়স্ক ব্যাক্তিরা মেঝের
উপর পায়চারী করিতে থাকেন।
-
ইহার পর প্রায়ই সালফারের প্রয়োজন হয়।
কাতরতাঃ
শীতকাতর (দ্বিতীয় গ্রেড): [Dr. Robert Gibson Miller এবং James Tyler Kent]
গরমকাতর (দ্বিতীয় গ্রেড): [Synthesis]
ঠান্ডা একেবারেই সহ্য করিতে পারে না, সর্বদাই আবৃত থাকিতে ভালবাসে---> সূত্র: মেটেরিয়া মেডিকা।
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি)
- এন্টি-সোরিক (তৃতীয় গ্রেড)
- এন্টি-সাইকোটিক (তৃতীয় গ্রেড)
- এন্টি-টিউবারকুলার (তৃতীয় গ্রেড)
মূল কথাঃ
- অসহিষ্ণু, অভদ্র, অধীর এবং ক্রোধ পরায়ণ;
- ভীষণ ক্রোধ পরায়ন; ক্রোধের জন্য নিজে অসুস্থ হইয়া পড়ে।
- যতনা প্রসব বেদনা তার থেকে বেশি অনুভূতি; প্রসূতি এ সময় গালাগালি করে।
- ঝগড়া করিবার পর রাগ অবস্থায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াইলে শিশুও অসুস্থ হইয়া পড়ে।
- মানসিক অস্থিরতার জন্য শিশু বেশি সময় একজনের কোল পছন্দ করে না।
- শিশুর দিকে দৃষ্টিপাত করিলে শিশু রাগান্বিত হয় (ব্রায়ো)।
- ক্রন্দন শীলতা এবং স্পর্শকাতরতা।
- কোন ভাল কথা জিজ্ঞাসা করিলেও রাগান্বিত ভাবে উত্তর দেয়।
- সামান্য পীড়ার যন্ত্রণাও তাহার নিকট অসহনীয়।
- শিশু এটা ওটার জন্য বায়না ধরে, কাঙ্খিত দ্রব্যটি দিলে তা নিতে চায় না এবং নিলেও তাহা ছুড়িয়া ফেলিয়া দেয় (সিনা, ক্রিয়োজোট)।
- শিশু সকল সময় ঘ্যান ঘ্যান করিয়া ক্রন্দন করিতে থাকে।
- দাঁতের যন্ত্রণা ঠান্ডা জলে উপশম (বায়োনিয়া, কফিয়া, পালস, নেট্রাম সালফ)।
- জ্বর সাধারণত সকাল ৯ টায় আসে
- বেদনা বা অন্যান্য পীড়া রাত্রি ৯ টায় বৃদ্ধি পায়।
- রাত্রি ১২ টা থেকে সকাল পযর্ন্ত শান্ত ।
- উদরাময়ে ডিম পঁচার ন্যায় দুর্গন্ধ।
- শিশুদের নিদ্রায় কাশি কিন্তু তাতে ঘুম ভাঙ্গে না।
- শিশুদের সবুজ বাহ্যে।
ধাতুগত বৈশিষ্ট্যঃ ইহা প্রধানত শিশুদের ঔষধ। শিশু খিটখিটে, ঘ্যান ঘ্যান করে। এ ছাড়াও ঝগড়াটে মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য।বয়স্ক লোকেরা অভদ্র আচরন করে পরে অনুতপ্ত হয়।
ব্যবহারস্থলঃ শিশুদের দাঁত উঠিবার সময় বহুবিধ রোগ, দন্তশূল, পাকাশয় শূল, বায়ুশূল, স্ত্রীলোদের ক্রোধের পর ঋতুশূল, শীতকালের খুসখুসে কাশি, শিরঃপীড়া, শিশু উদারাময়, বাধক বেদনা, বাতের বেদনা, ঘাম, কর্ণ রোগ, কান পাকা, মানসিক উদ্বেগ প্রভৃতি পীড়ায ব্যবহার্য়।
ক্রিয়াস্থলঃ স্নায়ুবিধানের ভিতর দিয়া ইহা লিভার, পাকাশয় ও ফুসফুসের উপর প্রধানত ক্রিয়া করিয়া উহাতে উপদাহ জন্মায় এবং রক্তাধিক্য শ্লেষ্মা ও অন্যান্য রোগ উৎপাদন করে ।
উপশম/হ্রাসঃ রাত্র ১২ টার পর উপসর্গ থাকে না, শিশুকে কোলে করিয়া বেড়াইলে উপশম, উষ্ণ আদ্র আবহাওয়ায়/ আকাশের অবস্থা গরম হইলে উপশম, অনাহারে থাকিলে উপশম।
বৃদ্ধিঃ উত্তাপে বৃদ্ধি, ক্রোধে বৃদ্ধি, মুক্ত বাতাসে বৃদ্ধি, সন্ধ্যা হইতে মধ্যরাত্রি পর্য্ন্ত বৃদ্ধি, বেদনা আক্রান্ত পাশে শয়নে, বিছানার গরমে, গরমে, খোলা হাওয়ায়, ঘুমের সময়, ঘামের সময় বৃদ্ধি।
ক্রিয়া স্থিতিকালঃ ২০-৩০ দিন।
ঔষধের পরিপন্থী বা অনিষ্টকর খাদ্য (Inimical food) : মিষ্টি, দুগ্ধ, উষ্ণখাদ্য, ঠান্ডা খাদ্য, কফি ।
লক্ষণ সূত্রঃ এম,
ভট্রাচার্য্য: পৃষ্ঠা-২৫৮, এন, সি ঘোষ: পৃষ্ঠা-২৩১, উইলিয়াম বোরিক:
পৃষ্ঠা-১৩৩, নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: পৃষ্ঠা-১৮১, ই. এ. ফ্যারিংটন:
পৃষ্ঠা-২০২, জেমস টেইলর কেন্ট: পৃষ্ঠা-২৮৬, নীলমনি ঘটক: পৃষ্ঠা-২১৪, ই. বি
ন্যাশ: পৃষ্ঠা-১৮১, জে এম মিত্র: পৃষ্ঠা-২৭১, এস কে সাহা: পৃষ্ঠা-১৬০, এইচ.
সি এলেন: পৃষ্ঠা-৮৯, জন হেনরি ক্লার্ক: পৃষ্ঠা-৪৩৬ ।